তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ (আউট অব লিস্ট) দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে শহিদুল আলমের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় জামিন আবেদন করলে আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর এ মামলায় তার জামিন বিষয়ে হাইকোর্টে রুল শুনানি হয়। শুনানিকালে সড়ক আন্দোলন নিয়ে শহিদুল আলমের আল জাজিরা টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকার ও লাইভ ভিডিওগুলো দেখাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ (বৃহস্পতিবার, ১ নভেমস্বর) ভিডিও ফুটেজগুলো প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়। এরপর হাইকোর্ট শহিদুল আলমের জামিন আবেদন আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
পরে ব্যারিস্টার সারা হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এখন শহিদুল আলমের জামিন চেয়ে হাইকোর্টের অন্য বেঞ্চে আবেদন জানাবো।’
প্রসঙ্গত, দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দেন। ওই ঘটনায় রমনা থানার তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গত ৬ আগস্ট ডিবি (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে এ মামলায় শহিদুল আলমকে কারাগারে হাজির করা হলে গত ১২ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরী।