ঢাকা ও জামালপুরের দু’টি মানহানির মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ৫ মাসের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি আহমেদ। তার সঙ্গে ছিলেন এম মাসুদ চৌধুরী ও স্বপন দাস।
রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে তারা এ জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
এর আগে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির করা মানহানির মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর।
একইদিনে অপর একটি মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন জামালপুরের একটি আদালত। রোববার দুপুরে জামালপুরের আমলি আদালত এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ২০ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ফারজানা ইয়াসমিন লিটা। পরে সেটি আমলে নিয়ে জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোলায়মান কবির আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এই দুটি মামলায় উচ্চ আদালতে আবেদন করে জামিন পেলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তরের জার্নাল’ এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন- আপনি বলেছেন আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।’
মাসুদা ভাট্টির এই প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’