Home » News » আমার স্ত্রীর সঙ্গে গৃহশিক্ষকের সম্পর্ক আছে : এএসপি

আমার স্ত্রীর সঙ্গে গৃহশিক্ষকের সম্পর্ক আছে : এএসপি

মেহেরপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) লিয়াকত হোসেনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার আদালতে যৌতুকের মামলা করেছেন তার স্ত্রী জুলিয়া নাসরিন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম এম মোর্শেদের আদালতে তিনি মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।

এ বিষয়ে এএসপি লিয়াকত হোসেন বলেন, আমার স্ত্রী বিথীর সঙ্গে এক গৃহশিক্ষকের সম্পর্ক আছে। সম্পর্কে বাধা দেয়ায় স্ত্রী বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। মামলা দায়েরের বিষয়টি তিনি জেনেছেন বলে জানান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১৮ জানুয়ারী ৩ লাখ ১ টাকা দেনমোহরে খুলনা সদর উপজেলার টুটপাড়া মেইন রোড এলাকার কিতাব উদ্দিন শেখের ছেলে লিয়াকত হোসেনের সঙ্গে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার জিয়াউল আলমের মেয়ে জুলিয়া নাসরিন বিথীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা খুলনার নিজ বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। বর্তমানে তাদের সংসারে জীম (১৬) এবং জিনিয়া (১১) নামে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের দিনই লিয়াকত হোসেন শ্বশুড়ের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। সে সময় মেয়ের সুখের আসায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের ৬ ভরি ওজনের একটি স্বণের চেইন এবং বাসায় ব্যবহারের জন্য ৩ লাখ ৩ হাজার টাকার আসবাবপত্র দেন জিয়াউল আলম। তারপরও যৌতুকের ২০ লাখ টাকা দাবিতে স্ত্রী বিথীকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন লিয়াকত আলী। কোনো উপায়ন্ত না পেয়ে জমি বিক্রি করে জামাই লিয়াকত হোসেনকে তিন দফায় ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪ লাখ টাকা দিয়েছেন বিথীর পরিবার। বাকি টাকা দিতে না পারায় গত এপ্রিল মাসে বিথীকে শারীরিক নির্যাতন করে দুই সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেন।বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রশীদ রানা বলেন, আসামি আমার মক্কেলকে ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।