Home » Featured » সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন সংবিধানে রয়েছে: ড. শাহদীন মালিক

সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন সংবিধানে রয়েছে: ড. শাহদীন মালিক

সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করার বিষয়টি সংবিধানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে তিনি বলেন, বিএনপিসহ অনেকেই বলেন সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দেয়ার জন্য। কিন্তু তারা এটা কেন বলছেন না, সংবিধানের ১২৩ এর ৩(খ) অনুচ্ছেদে বলা আছে- সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করা যাবে। সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবিটা উদ্ভট দাবি নয়। ওনারা যদি এতোদিন এই অনুচ্ছেদের কথা উল্লেখ করে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দেয়ার দাবি তুলতেন তাহলে এটি জনগণের কাছে অনেক যৌক্তিক মনে হতো।

মঙ্গলবার রোকসানা আনজুমান নিকোলের সঞ্চালনায় যমুনা টেলিভিশনের টকশো ‘রাজনীতি’তে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। আলোচনার বিষয় ছিলো: ‘কেমন সরকারে নির্বাচন?’

এসময় ড. শাহদীন মালিক আরো বলেন, সবকিছু সংবিধানে লেখা থাকবে না। নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন নিয়ে সংবিধানে মাত্র ৯টা অনুচ্ছেদ আছে। দুই পৃষ্ঠার মতো। যুক্তরাষ্ট্রে আছে ৭টি ধারা। ১৫ পৃষ্ঠা। অর্থাৎ মূল দাগে বড় কিছু লেখা আছে। আপনি যেটা করতে চাইবেন সেটা ওভাবে করতে হবে।

তিনি বলেন, সংসদ ভেঙে দিলে স্বাভাবিকভাবে ওই সময় যে সরকার ছিলো সেটি না থাকাটাই স্বাভাবিক। অন্যান্য দেশে যেখানে সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে সেখানে প্রথা রয়েছে সংসদ ভেঙে দেয়া হয়। একটি অন্তর্বতীকালীন সরকার থাকে। আর ওই সরকার বড় বড় কোনো কাজ করবে না।

জানতে চাইলে ১২৩ এর ৩ (ক) এবং (খ) অনুচ্ছেদ নিয়ে ড. শাহদীন মালিক আরো বলেন, সংবিধানে দুইটা বিকল্প আছে। সংবিধানে ১২৩ (ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, সংসদ রেখে নির্বাচন করা যাবে । ১২৩ (খ) অনুচ্ছেদে বলা আছে – সংসদ ভেঙে নির্বাচন করা যাবে। সরকার বলছে সংসদ রেখে নির্বাচন করবে। অন্যরা বিকল্পটা চাচ্ছে। অন্যান্যা সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে সংসদ ভেঙে দেয়া হয়।

নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রীসভার আকার নিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যতজন নির্ধারণ করবেন ততজন থাকবেন। এখন ধরেন ৬০ জন আছে। প্রধানমন্ত্রী চাইলে ১০০ জন করতে পারেন। আইনগত কোনো বাঁধা নেই এবং সেটা সংবিধান সম্মত। তবে প্রথা হলো-বাড়িয়ে নয় কমিয়ে দেবেন। ১২৬ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশনের অনেক ক্ষমতা আছে। কমিশন তার ক্ষমতাগুলো প্রয়োগ করবে। সেক্ষেত্রে বিরোধীদের সব দাবি পূরণ হবে না কিন্তু নির্বাচনের জন্য সহনীয় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে।

নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রীরা কী কী করতে পারবেন আর কী কী করতে পারবেন না জানতে চাইলে ড. শাহদীন মালিক বলেন, সংবিধান তো উচুস্তরের মানুষদের জন্য। তাদের কাছে সাধারণ মানুষের একটা স্বাভাবিক প্রত্যাশা আছে। একজন মন্ত্রীর এমন আচরণ করা উচিত না যাতে তার বিরোধী যিনি মন্ত্রী না তিনি আসম অবস্থানে থাকেন। নিরাপত্তারটা ঠিক আছে। কারণ মন্ত্রী হিসেবে আমার জীবনের ঝুঁকি বেশি থাকতে পারে। এর বাইরে তাদের কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করা উচিত না।