এমন কিছু সম্পর্ক আছে, যে সম্পর্কে কিছু পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর সেই সম্পর্কের কোনো ব্যাখ্যা খুব তারাতারি মেলে না। কখনো মনে হয়, এটা শুধুই শারীরিক সম্পর্ক। আবার কখনো মনে হয়, তা শুধুই মনের টান।
হ্যাঁ, নারী-পুরুষের সম্পর্কে যৌনতা একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেক সময় একটি সম্পর্কে সব কিছু ছাপিয়ে মূখ্য হয়ে ওঠে যৌনতা।
ঠিক এমনই একটি সমস্যার কথা জানিয়ে ভারতীয় এক গণমাধ্যমে চিঠি লিখেছিলেন মহিনী রায় (ছদ্মনাম)।
ভারতের হুগলির আরামবাগের ৩৫ বছর বয়সী ওই নারী জানান, তিনি তার চেয়ে ১০ বছরের ছোট এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন।
মহিনী রায় লিখেছেন, ‘৪ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়। বেশ কিছু দিন কথাবার্তার পর আমরা একদিন দেখা করি। প্রথম প্রথম সব কিছু ঠিক ছিল। যুবকটির সঙ্গে আড্ডা মারতে বেশ লাগছিল। অনেক ক্ষণ আমরা গল্প করতাম। চা খেতাম।’
তিনি লিখেছেন, ‘একদিন ও আমায় ওর বাড়িতে নিয়ে গেল। গল্প করতে করতে দু’জনেই দুর্বল হয়ে পড়ি। তারপর অচিরেই আমাদের সম্পর্কে যৌনতার ছোঁয়া লাগে। সত্যি বলতে খুব উপভোগ করেছিলাম দিনটা।’
মহিনী জানিয়েছেন, এরপর থেকেই সব কিছু ওলট-পালট হয়ে গেল। ছেলেটি যৌনতা ছাড়া আমার সঙ্গে ভালো করে কথা বলে না। আমিও ভাবি ওর সঙ্গে আর কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখব না। কিন্তু, যখনই ও ডাকে (আমাকে), স্রেফ যৌনতার টানে চলে যাই। ছেলেটি সেক্স ভালো করলেও, মানুষটা ভালো নয় বুঝে গিয়েছি। কী করব?
মহিনীর এমন চিঠির জবাবে কলকাতার এক নামী মনরোগ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, অনেকেই এ ধরনের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মনে রাখতে হবে, সম্পর্কটি আসলে বিষাক্ত। অতএব, এখন না এগোনোই বুদ্ধিমানের কাজ।
মনরোগ বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, মহিনী আপনাকে প্রথমেই ঠিক করতে হবে, আপনি কি চাইছেন? আপনি যদি মনে করেন, এই সম্পর্কে আপনার শরীর ছাড়া কোনো সম্মানের জায়গা নেই। তা হলে বলব, বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন। মনে রাখতে হবে, জীবনে শুধু সেক্সটাই বড় কথা নয়। মনে আনন্দটাও গুরুত্বপূর্ণ। আর মনের আনন্দ কিন্তু সেক্সে মেটে না। প্রতিদিন সকালে মেডিটেশন বা ধ্যান করতে পারেন। এতে করে সুফল পাবেন আপনি। মেডিটেশনেই নিজেকে প্রশ্ন করুন, উত্তর পেয়ে যাবেন। ওটাই ওষুধ।