অবশেষে ১০৭ দিন পর মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) রাতে মুক্তি পেয়েছেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি কারাগারে ছিলেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডি এলাকায় ফেসবুক লাইভ করেন শহিদুল আলম। এছাড়াও তিনি এই আন্দোলনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে এক সাক্ষাৎকার দেন। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। পরদিন ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে তার বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ৬ আগস্ট তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তাকে রিমান্ডে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান শহিদুল আলম। রবিবার সেই জামিন স্থগিতের আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু শুনানি শেষে উচ্চ আদালত শহিদুল আলমের জামিন বহাল রাখেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে জামিনের যে কাগজ আমাদের কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল সেটাতে ঠিকানা ভুল ছিল। পরে সেটা আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করে আবার সন্ধ্যার মধ্যেই তার স্বজনরা পৌঁছে দেন। এরপর যাচাই বাছাই শেষে রাত সাড়ে ৮টায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
শহিদুল আলমের মুক্তির পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তার (শহিদুল) মুক্তির মধ্য দিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে এখনও দেশের বিচার ব্যবস্থা ভেঙে যায়নি।’