রংপুরের মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
মঙ্গলবার বেলা ২টার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এর আগে দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে থেকে ঢাকার মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে আনা হয় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে।
সোমবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি নেতা আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
আটকের পরপরই ব্যারিস্টার মইনুলকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়া হয়। তাকে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম যুগান্তরকে জানান, ব্যারিস্টার মইনুলকে রংপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
রংপুরে সোমবার ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন মানবাধিকারকর্মী মিলি মায়া। তিনি রংপুর নগরীর মুলাটোল মহল্লার বাসিন্দা।
মামলাটি তার পক্ষে রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আইনুল হোসেন। আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা মামলাটি গ্রহণ করেন।
এদিকে আজ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ময়মনসিংহের আদালতে মামলা করা হয়েছে।
গত ১৬ অক্টোবর রাতে একাত্তর জার্নালে টকশোতে দৈনিক আমাদের অর্থনীতির নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তির ঘটনায় গত রোববার প্রথম মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে জামালপুরের আদালতে মানহানির মামলা হয়।
মামলাটি করেন যুব মহিলা লীগের জামালপুর শাখার আহ্বায়ক ফারজানা ইয়াসমীন লিটা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
একই দিন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি।
এ মামলাটিতেও ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এ ছাড়া ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ভোলা ও কুড়িগ্রামে মামলা হয়েছে।